জেলা প্রতিনিধি :
সহিংসতা ও ভাংচুরসহ সকল অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রুখে দেয়াসহ পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ১১ আগস্ট যশোর কোতোয়ালি থানায় সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সভায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধিসহ যশোরের সুধীজনেরা অংশ নেন।সভায় বলা হয় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যশোরে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এখন আর ঘটছে না। দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। পুলিশকে নির্ভয়ে নব উদ্যমে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
আইনশৃংখলা সমুন্নত রাখাসহ মানুষে জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ আগের মতই ভূমিকা পালন করবে। যশোরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন, ছাত্রজনতা, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। সকল উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাটিয়ে পুলিশ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে বলেও সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন ঘোষের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, যশোরে সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কাপ্টেন নাবিল আহম্মেদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, মুক্তিযোদ্ধা মাযহারুল ইমলাম মন্টু, আফজালুর হোসেন দোদুল, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাঁশিনুর নাহার ঝুমুর, যশোর কেতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানসহ ছাত্রপ্রতিনিধি, সুধীজন, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ অনেকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রঞ্জিত দাস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী, সমাজসেবা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান তুহিন, আনসার ও ভিডিপি প্রতিনিধি শাহবাজ, সমন্বিত বাইকার এ্যাসোসিয়েশনের শেখ সুজন, ছাত্রপ্রতিনিধি নুর প্রমুখ।
সভায় পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজ শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এ জন্য রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ সহযোগিতা করবে। পুলিশ স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্র সমাজ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রত্যক উপজেলায় কমিটি গঠন করা হচ্ছে। রাত জেগে পাড়ায় পাড়ায় কমিউনিটি পুলিশ ও তরুণ যুবকেরা টহল দিচ্ছে।
সভায় আরো বলা হয় সহিংসতা নিয়ে যেনো গুজব না ছড়ায় সেদিকেও সজাগ থাকতে হবে। কোনো সহিংসতার ঘটনা কিংবা আশঙ্কা থাকলে ক্যাম্প কিংবা কন্ট্রোলকে অবহিত করতে হবে। পুলিশ ছাড়া সমাজের শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে সেখানে পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করবে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় সভায়।