সুজন শাজাহানপুর বগুড়া :
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের বৃ কুষ্টিয়া (পশ্চিম) গ্রাম থেকে রিফাত জাহান বৃষ্টি নামে এক কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়ের মরাদেহ উদ্ধার করেছে শাজাহানপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে পাঁচটার সময় ভাড়া বাড়িতে শয়ন কক্ষে থেকে তার মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃষ্টি ঐ গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলামের মেয়ে
তিন ছেলের ও এক মেয়ের মাঝে বৃষ্টি সবার বড়।
আত্বহ*ত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার এস,আই মোসলেম উদ্দিন বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারী অদ্য সোমবার বিকাল ৫ ঘটিকায় খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত বৃষ্টিকে দেখতে পাই। এখনো ঘটনার মামলা হয়নি মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত বৃষ্টি সরকারি আজিজুল হক কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আত্মহ*ত্যা বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের বড়আব্বা রজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান
পার্শ্ববর্তী গ্রাম চোপিনগর নুনিপাড়ার কৃষক মহসিন আলীর ছেলে আল আমিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল বৃষ্টির
পরবর্তীতে আল আমিন বিয়ের জন্য অনিহা দেখালে এক পর্যায়ে বিয়ের দাবিতে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বরে আল আমিনের বাড়িতে অনশনে বসেন নিহত বৃষ্টি।
এই ঘটনার জেরেই আজ সোমবার বিকাল ৫:১৫ ঘটিকায় বাবা মায়ের অবর্তমানে নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বৃষ্টি। এদিকে,অভিযুক্ত আল আমিন বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকরা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নিহত বৃষ্টির বাবা আরিফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মেম্বারের সহায়তায় আমাদের মেয়েকে অভিযুক্ত আল আমিনের সাথে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে জোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, যদি বিয়ে করত তাহলে আমাদের মেয়েকে হারাতে হত না।
নিহত বৃষ্টির ফুফার অভিযোগ স্থানীয় মেম্বার মোল্লা আরিফ আজাদ পলাশ, আবু সাঈদ বিচারের মাধ্যমে বলে অভিযুক্ত আল আমিন এখন পলাতক ফিরে আসলে বিয়ের ব্যবস্হা করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে বৃষ্টিকে বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে বিচারে অভিযুক্ত আল আমিনের পরিবারের কেউ ছিলপন এমনটি জানান নিহত বৃষ্টির ফুপা,
এমন অভিযোগের পেক্ষিতে, মেম্বারদ্বয় মোল্লা আরিফ আজাদ পলাশ এবং আবু সাইদ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা মেয়েকে খোর্দ্দ কুষ্টিয়া চারমাথায় একাকী অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে গত দেড় মাস আগে বাড়িতে রেখে আসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য এখনো জানা সম্ভব হয় নাই।
লাশ সুরতহাল রিপোর্টের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট আসলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।