মোঃ জুয়েল খাঁন খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন পাওয়ার প্লান্ট এর শত শত টন চোরাই লোহা বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন চোর চক্রের সদস্যরা। পাওয়ার প্লান্ট এলাকা হতে বেশ কয়েক মাস ধরে লোহাচুরির বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে রামপাল পাওয়ার প্লান্ট এলাকা ঘুরে জানা যায় বেশ কয়েক মাস যাবত লোহাচুরির ধুম পড়েছে পাওয়ার প্লান্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায় যে পাওয়ার প্লান্টে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারকৃত লোহার টুকরা এবং বেশ কিছু ধরনের বিভিন্ন লোহার সরঞ্জাম পাওয়ার প্লান্ট সীমানার বাইরে একটি জায়গায় শত শত টন লোহা একত্রে রাখা হয় যে কারণে চোর সদস্যদের কোন প্রকার সমস্যাই হয় না এর সমস্ত লোহা চোরায় পথে যে সকল এলাকায় বিক্রি করা হয় তার মধ্যে রয়েছে বাজুয়া বাজার দিগরাজ বাজার রূপসা বাসস্ট্যান্ড কাটাখালি মোড় নোয়াপাড়া মোড় চুলকাঠি বাজার সহ আরো অনেক জায়গাতে এই লোহা বিক্রয় করা হয়। আরো খবর নিয়ে জানা যায় যে পাওয়ার প্লান্ট সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের লোকজন সহ বাহিরের কিছু সংঘ বহিরাগত চোর সদস্য মিলে দীর্ঘদিন ধরে চুরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের কোন ধরনের পদক্ষেপ কেন নিচ্ছেন না বিষয়টি আমাদের এখনো অজানা যেখানে পাওয়ার প্লান্ট এর সামান্য এক টুকরা লোহা চুরি হলে চোরকে সঙ্গে সঙ্গে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে সেখানে দিনের পর দিন কিভাবে এত বড় চুরি হচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে শত শত টন লোহা কি করে চুরি হচ্ছে তা সকলেরই ধারণা এ সকল লোহা বিভিন্ন চোরাই পথে যাচ্ছেন সেদিকে কেউই কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখা যায় পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ যেখানে লোহা গুলি রেখেছেন সেই জায়গাটি একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গা যে কারনে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোম্পানি পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানিকে তার জায়গা খালি করতে বলায় এবং বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে যাওয়ায় চোর সদস্যদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের সুবিধা বেড়ে যায় যে কারণে চোরদের চুরি করতে আর কোন দ্বিধায়ই থাকে না খুব সহজেই ওখান থেকে মালামাল চুরি করে চলেছেন বিভিন্ন চোর চক্রের সদস্যরা। জায়গা খালি করা এবং লোহাচুরির পুরো বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি তারপরও এ সকল চোরাই লোহা যে সকল পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে তার মধ্যে বিভিন্ন থানা নৌবাহিনী কোস্টগার্ড রয়েছেন এমনকি বেশকিছু পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছেন আসলেই এ সকল চুরির বিষয়ে তারা কি অবগত নয় নাকি সবকিছু জেনেও তারা না জানার ভান করে বসে আছেন এমনকি পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করছেন না বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় বেশ কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় লোহাচুরির বিষয়টি প্রকাশ হলে প্রশাসন এর কিছু কার্যক্রম দেখা গেলেও বর্তমানে সেটি একেবারেই নেই বললেই চলে তবে কি লোহাচুরির এই বিষয়গুলো মিথ্যা নাকি গুজব।