যশোর প্রতিনিধি :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের শিক্ষার্থীরা মহাসমাবেশ করেছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ মহাসমাবেশে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ এক মাস ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতায় সব সেক্টর থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে। এ উদ্দেশ্যে মহাসমাবেশ করে যশোর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মহাসমাবেশে যশোরকে প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণা করতে কাজ শুরু করছেন বলে জানান বক্তারা।
এতে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মারুফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সমন্বয়ক জেসিনা মুর্শীদ, এমএম কলেজের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ, খন্দকার রুবাইয়া। আরো বক্তব্য দেন, রাসেল মাহমুদ, সাদেকা তাহনী উর্মি, ইমরান হোসেন, আমানাউল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মহাসমাবেশ। এরপর আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত এক মাস রাজপথে বৃষ্টিতে ভিজে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এ সংগ্রামে লড়াই করেছি আমরা। তাই দেশ সংস্কার করার দায়িত্ব আমাদেরই। সরকার পতনের পর যশোরের সমন্বয়কদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে চাই না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন টোকাই এবং সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এগুলো রুখে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যশোরের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর সমাজের মানুষ ভরসা রেখেছেন। আর এমন সময় কিছু দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্র করে নতুন বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যশোরকে নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা চাই যশোরকে দেশের প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণা করতে। যশোরের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তার আগে জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে এবং কঠোর প্রতিবাদী মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যে এখন থেকে কাজ শুরু করবো। বক্তব্য প্রদান শেষে শপথ পাঠ করানো হয়।