মিজানুর রহমান- মহেশপুর থেকে পাঠানো চিত্র, দৈনিক লিখনী সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক প্রসূতি মা ও তার স্বজনদের কে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে।জানাযায়,গত ২৯ জুলাই তারিখ রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার দিকে কাজিরবেড় গ্রামের কাকুলি খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তার মামা তাকে উপজেলার নেপারমোড় বাকোশপোতা বাজারে অবস্থিত রাসেল মাহমুদ এর নিউ একতা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।ক্লিনিক মালিক রাসেল ডাক্তার আসার কথা বলে ভোর ৫ টা পর্যন্ত রোগী ও তসর স্বজনদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বসিয়ে রাখে।এদিকে ডাক্তার না আসায় রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই দেখে রোগীর স্বজনরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন।কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাঁধা প্রদান করে রোগী ও তার স্বজনদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে জোরপূর্বক ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।রোগীর স্বজনদের কাছে এতে টাকা না থাকায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।এমতাবস্থায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল কতৃপক্ষের হাত পা ধরে নগদ ৪ হাজার টাকা ও বাকি ৬ হাজার টাকা পরে দিবে এই মর্মে অঙ্গিকার করে রোগী নিয়ে জীবননগর সনো কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।এবং সকালে সেখানে সিজার করান।তারা বলেন,আর একটু দেরি হলেই প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হতো।বর্তমানে মা ও নবজাতক অসুস্থ অবস্থায় আছেন।প্রসূতির স্বজনরা জানান,এমন যেন আর কোন ভুক্তভোগীর সাথে না হয়।সেবার নামে একতা ক্লিনিক মালিক রাসেল কসাইখানা খুলে বসেছে।ক্তালিনিকের সাথেই তার বাসা হওয়ায় তার পুরো পরিব এভাবেই সাধারন রোগীদের ওপর নির্মাযাতন করে জোরপূর্নুবক টাকা আদায় করে থাকেন।এই বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কাকুলি খাতুনের মামা জাকির হোসেন।
তিনি প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন,তদন্ত পূর্বক নিউ একতা প্রাইভেট হাসপাতাল টি বন্ধ করা সহ হাসপাতাল কতৃপক্ষের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ও দাবি জানান।