উৎপল ঘোষ,ক্রাইম রিপোর্টার :
বাগেরহাটে শ্রাবণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী মেহেদী হাসান তুফানকে ঢাকা পল্লবী এলাকায় র্যাব-৬ ও র্যাব-৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে
মোংলা থানার মামলা সুত্রে জানা যায়,ভিকটিম আনিকা আক্তার শ্রাবণী (২৩) প্রায় ৫ বছর পূর্বে আসামির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে ৪ বছর বয়সী তাদের একটি কন্য সন্তান আছে। বিবাহের পর থেকেই আসামি বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। ভিকটিম মোংলা ইপিজেডে চাকুরি করে সংসারে খরচ চালাতো। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে আসামি ভিকটিমের নিকট ব্যবসা করার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে তালাক দিবে বা মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে আসামি তার শশুর বাড়ি ফোন করে জানায় যে, তাদের মেয়ে আনিকা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ঘরের ছিটকানী খুলে প্রবেশ করে ভিকটিমকে একটি কাঁথা দিয়ে ঢাকা মৃত অবস্থায় পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন আসলে ভিকটিমের পরিবার এই মৃত্যুকে কোনভাবেই আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ হয় এবং এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
গতকাল ০৭ নভেম্বর গভীর রাতে র্যাব-৬, (সিপিএসসি) ও র্যাব-৪, (সিপিএসসি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, শ্রাবণী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা মহানগরের পল্লবী থানাধীন একটি জায়গায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি পল্লবী থানাধীন সেকশন ১১, রোড নং-৭ এলাকা হতে শ্রাবণী হত্যা মামলার প্রধান আসামি খুলনা দৌলতপুর থানাধীন পাবলা চুনুর বটতলা এলাকার মোঃ কামাল শেখের লম্পট পুত্র মেহেদী হাসান তুফান (২৬)কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।