ঝিনাইদহ জেলার মতিউর রহমান মতির কবিরাজের চিকিৎসায় এক যুবকের জীবনে ভালোবাসার মানুষ কে ফিরে পেয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে।
নতুন দম্পতি আকাশের বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখার হাট এলাকায়। তাদের ঘরে ১০ বছরের প্রেমের পর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরপর আর কোনো উপায় না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝিনাইদহ কবিরাজ নমক ব্যক্তির কাছে হাজির হয়।
রোববার সকালে সরেজমিনে মতি কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নতুন বৌ নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি খাসি মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে কবিরাজের বাড়িতে হাজির হয়েছেন। ও এ নিয়ে কবিরাজ আখড়ায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খাসি হাতে এবং মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে নাচতে নাচতে মতি কবিরাজের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাদের দেখতে শত শত মানুষের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে।
আকাশ জানান আমি প্রবাসে ছিলাম স্কুল লাইফে সম্পর্ক হয় দুজনের তার পর আমার পরিবারের ও মেয়ের পরিবারের কেউ আমাদের মানত চায়না এমন কি মেয়ে নিজেও আমার ব্লক সহ কথা বন্ধ করে দেয় এক বছর আমি দেশে ফিরে এনার সরাপর্ন হই। এখন এয়ারপোর্টে চাকরি করছি
আমাদের ঘরে এখন সুখের সংসার। যখন আমার সাথে কথা বন্ধ ও খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে তখন ভেবেছিলাম আর পাবো না হয়ত বিয়ে হয়ে গেছে। এ নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। অনেক ফকির দেখিয়েছি যা বলেছে তাই করেছি কিন্তু ফলাফল না পেয়ে আমি একেবারেই ভেঙে পড়ি। এরপর আমার বোনের পরামর্শে আমি মতি কবিরাজের কাছে যাই। তিনি তদবির দেন। এরপর দুই সপ্তাহের মধ্যে আমার সাথে যোগাযোগ করে আমার শশুর বাড়ির লোক জন ও আমার বৌ এরপরে পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ১ মাস পূর্ণ হলে কবিরাজ কে ঝাল মিষ্টি দিতে মতি কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে কবিরাজ মতি জানান, আমার কাছে জিন রয়েছে। আমি জিনের দ্বারা মানুষকে সেবা দিয়ে থাকি। আমি বলেছিলাম ওই দম্পতির মিলন হবে। আল্লাহ কবুল করে নিয়েছে। আমার চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের মিলন হয়েছে। আমি অনেক খুশি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী কবির শাহিনুর, রাজু, সোহাগ, রুপা, জাহিদা, জসিম, আশিক, আবুসাঈদ, জানান- আমরা শুনেছি মতি একজন কবিরাজ। অনেকবার প্রমাণ পেয়েছি। তার চিকিৎসার মাধ্যমে এক শত দম্পতির মিলন হয়েছে।
এ বিষয়ে বুদো শাহ আলম শাহ মাজার শরিফের খাদেম মোশারফ গুলজার কালবেলাকে বলেন, মতি কবিরাজের ২৫ বছর ধরে আখড়া সহ নিজ বাসায় চিকিৎসা দেয় এতে উপকারি সকলের তাদের জন্য দোয়া রইল। মাগুরা থেকে। আসা রাবিয়া, চুয়াডাঙ্গা হাসাদাহ থেকে আসা মুন্নী ঝিনাইদহের রেজাউল সহ অনেকেই তার থেকে সুফল পেয়েছে বলে জানান।