দুর্নীতি মামলায় নড়াইল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরসহ ৬জন যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের স্পেশাল জজ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আত্মসমর্পণকৃত অন্যরা হলেন, একই পৌরসভার কমিশনার শরফুল আলম লিটু, শুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়তে হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নীতিমালা ২০০২-এর ৩(ঘ) অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে আসামিরা ১৪১২, ১৪১৩ ও ১৪১৪ অর্থবছরে রূপগঞ্জ পশু হাট ইজারা দেন। সেই ইজারায় এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) উপপরিচালক শহিদুজ্জামান এই ঘটনায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী নড়াইল পৌরসভার মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে আত্মসাৎ করা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ টাকা জরিমানা করেন।
উচ্চ আদালতে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন না পেয়ে আজ যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।