1. ra7665785@gmail.com : admin :
খুলনার পাইকগাছায় নদী ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ - Alifnewstv.com
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় নদী ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৮ Time View

মোঃ জুয়েল খাঁন খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।

খুলনার পাইকগাছা লস্কর ইউনিয়নের কড়ুলিয়া (শিবসা) নদীর আলমতলা হাট থেকে পাইকগাছা ব্রীজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় এক কিলোমিটার ওয়াপদার ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল এর সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধন কালে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে প্লাবিত হয়ে ভেসে যাবে এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে করে ভেসে যাবে শত শত চিংড়ি ঘের। বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে ক্ষতি হবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তাই দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের কড়ুলিয়া (শিবসা) নদী সংলগ্ন আলমতলায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। সেই সময় জাইকার অর্থায়নে একটি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সে কাজটিও যদি ঠিক সময়ে সঠিকভাবে হতো তাহলে আজ এই ভোগান্তি হতো না। এখানে কোন অনিয়ম হলে তার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ।
উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এড. মোস্তাফিজুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা আমীর সাইদুর রহমান, লস্কর ইউনিয়ন আমীর মোজাফফর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সবুর, আফসার উদ্দিন ফিরোজী, সাবেক ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান রাসেল প্রমুখ। এসময় মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ভাঙন রোধে নদীতীরের দুর্বল স্থানগুলোতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন ভাঙনপ্রবণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিমেন্ট কংক্রিট ব্লক (সিসিব্লক) ফেলে নদীতীরকে মজবুত করা, যাতে নদীর ভাঙন ঠেকানো যায়। এ ছাড়া বাঁশের তৈরি খাঁচা (পারকুপাইন) ফেলেও নদীতীরকে শক্ত রাখা যায়। তিনি বলেন, সরকারের তথা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদিচ্ছা থাকলে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন কিছু নয়। নদীভাঙন বন্ধ করা গেলে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচবে। আশ্রয় ও জীবিকার সন্ধানে তারা শহরাঞ্চলে ছুটবে না। বিস্তীর্ণ মৎস্য ঘের ও ফসলের জমি নদীতে তলিয়ে যাবে না, জনপদ, অবকাঠামো বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। একইসঙ্গে তা জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখতে অবদান রাখবে ইনশাআল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category