মোঃ ইদ্রিস শেখ ক্রাইম রিপোর্টার খুলনা
বাগেরহাটের সড়ক –মহাসড়কে গত ৭ মাসে প্রায় ৪০ জনের প্রাণায়ানি হয়েছে বেশিরভাগ এক্সিডেন্ট গুলি হচ্ছে বিভিন্ন ত্রি হুইলারের কারণে। এসব অবৈধ্য গাড়ী বেপরোয়া গতিতে চলার কারনে প্রতিনিয়ত সড়কে ঝড়ছে তাজা প্রাণ। গত ৭ মাসে বাগেরহাটের সড়ক-মহাসড়কে দূর্ঘটনায় ৪০ জনার প্রান হানি ঘটেছে । সড়ক মহাসড়ক গুলো যেন মৃত্যু পুরিতে পরিনত হয়েছে।
সড়ক – মহাসড়কে এসব অবৈধ্য যানবাহন চলাচল না করলে দূর্ঘটনা কমে আসবে বলে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ,বাস চালক স্থানীয়দের দাবী। কাটাখালি ও মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার তথ্য মতে ২০২৪ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৭ মাসে সড়ক মহাসড়কে ৫১ টি দূর্ঘটনা ঘটে। এতে শিশু বৃদ্বসহ ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবৈধ এসব যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারনে সড়ক মহাসড়কে বাড়ছে দূর্ঘটনা এমন দাবী পরিবহন চালক ও বাস মালিক সমিতির। মহাসড়কে থ্রিহুইলার ও অবৈধ্য যানবাহন চলাচল নিষেধ থাকলেও হাই্ওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে এসব গাড়ী। পুলিশ সড়কে ডিউটি পালন করা অবস্থায় তাদের সামনে থেকে অবৈধ বিভিন্ন ষ্টিকার লাগানো মাহেন্দ্রা চলাচল করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। পুলিশের সামনে দিয়েই বেপরোয়া গতিতে বুক ফুলিয়ে সড়ক মহাসড়ক গুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাহেন্দ্র ইজি বাইক, নসিমন, করিমন, ভডবডি,আলম সাধু, ভ্যান গাড়ী। এসব অবৈধ যানবাহনের ব্যাপারে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
বিভিন্ন ষ্টিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাহেন্দ্রা চালক বলেন, গাড়ীতে এই ষ্টিকার থাকলে পুলিশ ধরে না। প্রতিমাসে ষ্টিকার বাবদ ৫শত টাকা দিয়ে থাকি। তিনি আরো বলেন,কাটাখালির মোড়ে মাহিন্দ্রা এবং ফকিরহাট মাহিন্দ্রা ষ্টান্ডে মাসিক টাকা কালেকশন করে পুলিশসহ সবাইকে ম্যানেজ করে। প্রতিমাসে টাকা দিয়েই আমরা গাড়ী চালাচ্ছি। মহাসড়কে যে দূর্ঘটনা হচ্ছে তার অধিকাংশ মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন এদের কারনে বিভিন্ন সময়ে এক্সিডেন্ট গুলো হয়ে থাকে।বাস চালক বাবু বলেন, আজ আমরা প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ি তার একমাত্র কারন থ্রিহুইল গাড়ী । এসব থিহুইল গাড়ী মহাসড়কে উঠতে নাদিলে সড়কে ধূর্ঘটনা থাকবে না।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস ও মাইক্রবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বলেন, বাগেরহাট সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তার এক মাত্র কারণ থ্রিহুইলার সহ অবৈধ্য যানবাহন মহাসড়কে চলাচল কারার জন্য। পুলিশ প্রশাসন, কিছু নেতাকর্মী ম্যানেজ করে গাড়ীগুলি চলাচল করছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, কাটাখালী হতে ফকিরহাট, কাটাখালী হতে বাগেরহাট, কাটাখালী হতে মংলা এসব হাইওয়েতে কিভাবে বুক ফুলিয়ে চলে তা আমার থেকে ভালো পুলিশি বলতে পারবে। বিভিন্ন থ্রি হুইলারের কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে দূর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে কাটাখালী হাইওয়ে থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমার থানা এলাকায় কখনোই মাহেন্দ্রা ইজি বাইক চলাচল করতে দিনা। আমাদের সামনে পড়লে সেগুলিকে আটকে দি। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়ে তার কথার সাথে কাজের কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না এ বিষয়ে অনেকেই আমাদের নিশ্চিত করেছেন শুধু এখানে নয়। এছাড়াও সড়কে রয়েছে ভিন্ন ধরনের ফিটনেস বিহীন গাড়ি যে সকল গাড়ির ইঞ্জ নং চেসিস নং নেই বললেও চলে তারপরেও কি করে এই সমস্ত গাড়ি রাস্তায় চলাফেরা করছে তা আসলেই কারোরই জানা নেই।